শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত তারা ঘুরে দাঁড়ালো ভারতকে ৩১ রানে হারিয়ে। রবিবার বার্মিংহামে বিরাট কোহলির দলকে এই বিশ্বকাপে প্রথম হারের তেতো স্বাদ দিয়ে টিকে রইলো স্বাগতিকরা।>
জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি এবং জেসন রয় ও বেন স্টোকসের হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩৩৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৫ উইকেটে ৩০৬ রান করে ভারত। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারে ঢুকলো ইংল্যান্ড। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানকে (৯) টপকে চতুর্থ স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই আছে ভারত।
>রাউন্ড রবিনে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেমিফাইনালে খেলতে হলে তাদের জিততেই হবে ম্যাচটি। আর ভারত খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে হতো ভারতকে। শুরুতেই তারা হোঁচট খায় লোকেশ রাহুল উইকেট হারালে। ৯ বল খেলে রানের খাতা না খুলে তৃতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের বলে ফিরতি ক্যাচ হন এই ওপেনার।
এই ক্ষতি ভারত পুষিয়ে নেয় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার একশ ছাড়ানো জুটিতে। এই দুই ব্যাটসম্যান ১৩৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করার পথে ফিফটি করেন। ৫৯ বলে ৬ চারে বিশ্বকাপের টানা পঞ্চম ও ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি করেন কোহলি। কিছুক্ষণ পর রোহিত ৬৫ বলে ৯ চারে পঞ্চাশ ছোঁন।
কোহলিকে বদলি ফিল্ডার জেমস ভিন্সের ক্যাচ বানিয়ে শক্ত জুটি ভাঙেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ৭৬ বলে ৭ চারে ৬৬ রানে আউট হন অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর রোহিত ১০৬ বলে ১৫ চারে দেখা পান এই বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির। আর ৩ বল ক্রিজে ছিলেন তিনি। ১০৯ বলে ১০২ রান করে ওকসের কাছে উইকেট হারান এই ওপেনার।
এরপর ক্রিজে নেমে মেরে খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু তার সঙ্গে বড় জুটি গড়তে পারেননি ঋষভ পান্ত। তাকে ৩২ রানে ফিরিয়ে ২৮ রানের জুটি ভাঙেন প্লাঙ্কেট। এই ডানহাতি পেসারের শেষ ওভারে পান্ডিয়ার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ৩৩ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৩৩ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকায় প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়তে থাকে ভারতের। শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৭১ রান। মার্ক উড ও জোফরা আর্চারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পেরে ওঠেনি তারা। ধোনি ও কেদার যাদবের অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটিতে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ধোনি ৪২ ও কেদার ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
প্লাঙ্কেট সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের পক্ষে। দুটি পান ওকস। ১১১ রান করে দলকে দারুণ সংগ্রহ এনে দেওয়া বেয়ারস্টো হয়েছেন ম্যাচসেরা।
মতামত জানান